খেলনার মাধ্যমে শারীরিক ও মানোসিক বিকাশ


Tags: , ,

শিশুর সার্বিক বিকাশে দলীয় খেলার গুরুত্বঃ

শারীরিক শক্তি, মানসিক চিন্তা, চেতনা, বুদ্ধিমত্তা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো খেলাধুলা। খেলাধুলা একমাত্র সুস্থ শরীর গঠন, সঠিক ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও মানসিক বিকাশে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। খেলাধুলার সময় শিশুদের শরীরের রক্ত প্রবাহ অনেক বেড়ে যায়।যা শিশুদের দেহমন গঠন এবং সুস্থ জীবনের জন্য অত্যন্ত জরুরী।

সমষ্টিগত খেলা/দলীয় খেলাঃ

চার বছর বয়সী শিশুরা একে অপরের সাথে মিলেমিশে খেলতে শেখে। এই খেলার মাধ্যমে শিশুরা এক সাথে কাজ করে এবং ধারণা ভাগ করে নেয়। এ ধরনের খেলা খেলতে গিয়ে তারা খেলার নিয়ম অনুসরণ করতে শেখে এবং হার জিত মেনে নিতে শিখে। যা শিশুদের শারীরিক মানসিক এবং সামাজিক দক্ষতা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দলীয় খেলা শিশুর মধ্যে যে সকল দক্ষতা বাড়ায়ঃ

★ আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়।

★ সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

★ আদান প্রদানমূলক খেলার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

★ একে অন্যের প্রতি আগ্রহ বা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

★ বন্ধুসুলভ আচরণ বৃদ্ধি, একে অন্যের সাহায্য করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

★ ভাষা ও যোগাযোগের দক্ষতার বিকাশ ঘটে।

★ শারীরিক দক্ষতার বিকাশ হয়।

★ দলীয় খেলার মাধ্যমে শিশু নেতৃত্ব দিতে শিখতে পারে।

★ খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুরা নানা পরিস্থিতি সামাল দিতে শিখে।

★ আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, পরাজয় মেনে নিতে শেখে।

খেলা শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আবেগীয় বিকাশে সহায়তা করে এবং একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।কিন্তু বর্তমানে আমরা নাগরিক জীবনের প্রতি ঝুঁকে পরার কারনে খেলার মত আনন্দ কে বিসর্জন দিচ্ছি আর একেবারেই যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। যার ফলে শিশুদের টিভি এবং মোবাইলের প্রতি আসক্তি ও বেড়ে যাচ্ছে। তাই যেভাবেই হোক শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।

Roller Coaster
Rock Climbing

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *